এমন সময়ে ঘটল আরেক কান্ড। বাঁচার আর কোনও আশা নেই দেখে কাঠুরে ভাবল, যাক, মনের আনন্দে শেষবারের মতো বাঁশিটি বাজিয়ে নিই।
এমন সময়ে ঘটল আরেক কান্ড। বাঁচার আর কোনও আশা নেই দেখে কাঠুরে ভাবল, যাক, মনের আনন্দে শেষবারের মতো বাঁশিটি বাজিয়ে নিই।
এভাবেই সত্যিকথা মনিবের মুখের ওপর বলে এক বছরে চারটে বাড়িতে কাজ চলে গেল জনের। পেটের জ্বালা বড়ো জ্বালা। সে হন্যে হয়ে কাজ খুঁজছে খাওয়া ও থাকার বিনিময়ে, পাচ্ছে না।
এদিকে পথ চলতে চলতে হঠাৎই পুষির মনে হল, এরা তো ভালো লোক নয়, আমাকেও তো খানকয়েক রুটি দিতে পারত। ভেবে সে আবার ওদের কাছে ফিরে এসে ক’খানা রুটি চাইল। ততক্ষণে ওরা সব ময়দাই রুটি বানিয়ে খেয়ে ফেলেছে।
এদিকে স্বর্গ-মর্ত্য-পাতাল, তিনলোকেই হৈ-চৈ পড়ে গেল। বিধাতা না থাকলে ত্রিলোকের কাজকর্ম সব সুষ্ঠুভাবে হবে কী করে! ব্রহ্মাণ্ড রসাতলে যাবার উপক্রম হল। দেবতারা জরুরি আলোচনায় বসলেন।
মায়ের মৃত্যুর পর বেশ কয়েক মাস কেটে গেল। গ্যাঁ-গোঁ আর আগের মতো দুষ্টুমি করে না, মিথ্যা কথাও বলে না। মায়ের শোক তাকে অনেক শান্ত আর ভদ্র করে তুলেছে, মাকে সে কোনো মতেই ভুলতে পারছে না।
রাজা মণিটি দেখে খুবই বিস্মিত হলেন। তিনি নিজে মণিটিকে নদীর জলে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন। তিনি মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলেন কীভাবে মণিটি খুঁজে পাওয়া গেল। আর এত দিনই বা পাওয়া যায়নি কেন?
বাসায় ফিরে ব্যাগ রেখেই সোজা চলে গেল বাবার কাছে। দেখালো পাখির বাচ্চাটাকে। বাবা খুব মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করল পাখির বাচ্চাটিকে। মাথার ধূসর রং দেখেই বিল্টুর বাবা বলে উঠল, আরে এটা তো জলপিপি। এরা আমাদের অতিথি পাখি। প্রতিবছর শীতকালে অনেক দূর থেকে আমাদের দেশে আসে আশ্রয় নিতে।
এতক্ষণে বোকা উটপাখি কুমিরের মতলবখানা বুঝতে পারল। তখন উটপাখির গলা লম্বা ছিল না। অন্যান্য সাধারণ পাখির মতোই ছিল। বেচারি উটপাখির মাথা কুমিরের মুখের মধ্যে বন্ধ হতে তার দম বেরিয়ে যাবার অবস্থা।
এরপর বিশাল ভোজ। আশ মিটিয়ে ভোজন করে আমার সব প্রজাতির প্রজারা। ভোজন শেষে বসি আমি আমার সিংহাসনে। এক এক করে সবাই যে যার অভিযোগ উপস্থাপন করে।
সে কথা শুনে নেকড়ে তাকে বলল, “তুমি তো যাচ্ছ, আমার কথাটাও তাকে একটু শুনিয়ে দেবে? তিন বছর ধরে আমি পেটের ব্যথায় দারুণ কষ্ট পাচ্ছি। দিনরাত ব্যথায় তিষ্টোতে পারছি না। দোহাই, তুমি তো যাচ্ছ, তাঁর কাছে জেনে নেবে কীভাবে এ ব্যথার উপশম হবে?”
কার ঘর রে? কার এ সমস্ত? কে ছিল এই ঘরে? বড়রাও মুখ চাওয়াচাওয়ি করে। তাই তো! ঘরটা খোলা বারণ হয়ে আছে জন্মের আগের থেকে।
এমনি করে দিন যায়, লুকিয়ে কিম তার নিজের মুখ দেখে মুগ্ধ হতে থাকে। একদিন হয়েছে কি–কিম মুগ্ধ হয়ে আয়নায় নিজের মুখ দেখছে, আর সেই সময় তার বউ সেই ঘরে ঢুকেছে। সে দেখে কিম তন্ময় হয়ে কী যেন দেখছে।
একটি ছেলেকেই আমি কেবল দেখেছি। কথা শুনেছি তার। মায়ের কষ্ট বুঝে সে ভারী কলসিটি মাথায় তুলে নিল। বাকি তিনটি তো ছেলে না। দোকানে সাজানো পুতুল।
রাজা জানালেন, তিনি তাঁর ছেলের জন্যে এমন মেয়ে খুঁজছেন, যাকে দেখতে-শুনতে একটু ভালো তো হতেই হবে, কিন্তু তার থেকেও বড়ো কথা হল তাকে বুদ্ধিমতী হতে হবে! বুদ্ধির পরীক্ষার জন্য রাজা তিনটি কাজ করার কথা বলেছিলেন। সে কাজ যে মেয়েটিকে একা একা করতে হবে তেমন কোনো শর্ত নেই—ইচ্ছে করলে মেয়েটি বড়োদেরও সাহায্য নিতে পারে।
আর কিছু বুঝে ওঠার আগেই চাষিরা উটের পিঠে-গায়ে ঘা- কতক লাঠির বাড়ি বসিয়ে দিল। সে কোনোক্রমে মার খেতে খেতে ছুটে নদীর তীরে এলো৷ এসে দেখল কাঁচুমাচু মুখ করে শিয়াল সেখানে বসে আছে৷
তিতলি দেখতে পেল, সে লেকের ধারে একা বসে আছে। দুটো পরিযায়ী পাখি এসে তাকে বলছে–তুমি যাবে আমাদের দেশে? সাইবেরিয়া? অনেক দূর। প্রচণ্ড শীত। চারদিকে শুধু তুষার আর তুষার।
এদিকে হয়েছে কী, যেখানটায় বসে বসে আমাদের এই পথিকবাবু ভাত খাচ্ছিল, তার ঠিক উল্টো দিকেই একটা খাবারের দোকানঘর ছিল। সেখানে দোকানি খুব করে মাছ ভাজছিল আর বিক্রি করছিল।
সেই অপরিচিত মানুষটির দিকে একবার তাকিয়েই আশায় কুঁড়ে ছেলেটির চোখ ঝলমলিয়ে ওঠে। এক নজরেই বোঝা যায়, বাক্সটা বেশ ভারি। তবু বাধ্য হয়ে ওটাই বইতে হয় তাকে।
দিনের পরে দিন গড়িয়ে গেল। মাঝে মাঝে, ক্কচিৎ কখনো ভগুবাবুর কাছ থেকে নিতান্ত প্রয়োজনে কিছু টাকা চেয়ে নিয়েছে রমাই। ইতিমধ্যে রমাইয়ের ছেলে ডাগর হয়েছে।
মকর সংক্রান্তির দিন৷ শ্রী বিবেকানন্দ স্কুলের ছাত্ররা বনভোজনে যাচ্ছে৷ কৃষ্ণা নদীর সেতু পেরিয়ে ওপারে গিয়ে, নদীতীরের আল ধরে শেষে তারা সিদ্ধেগৌড়ার বাগানে পৌঁছয়৷ সেখানে প্রচুর আম আর কলাগাছ৷ ছেলেরা একটা আমগাছের নিচে এসে দাঁড়ায়৷
বণিকের ছদ্মবেশে রাজা মুগ্ধ। তিনি তাঁর নিজের আসল পরিচয় দিলেন। আচমকা স্বয়ং রাজাকে দেখে বিচারক ও গ্রামের সবাই অত্যন্ত খুশি ও রাজাকে যথেষ্ট সম্মান দেখালেন।
এক দেশে এক ছেলে ছিল। নাম তার তেলহৈবা। লোকে ভাবত, সে দারুণ তীর চালাতে পারে বলেই এমন নাম।
গ্রামের দিকে মনোরম এক গ্রীষ্মের সকাল। হাঁসের মা পুকুরের ধারে তার বাসায় বসে ছিল। আসলে সে ডিমের ওপর বসে ডিমে তা দিচ্ছিল। বেশ কিছু সময় ধরেই মা-হাঁস ডিমে তা দিচ্ছিল বলে সে জানে, এবার ডিম ফুটে হাঁসের ছানা জন্ম নেবে।…