জাল ফেলতেই চমকে উঠে একজন জেলে বলল, সে কি এ তো শেয়াল নয়! এ তো চিতা বাঘ। ওরা জাল ফেলে দৌড়ে বাঁধের ওপর উঠে বলতে লাগল, চিতাবাঘ,চিতাবাঘ,পালাও পালাও।

পড়তে বসে সেদিন ঘুমিয়ে পড়েছিল রোহন। স্বপ্নে দেখল,পাশে এসে দাঁড়ালেন রাধামাধব স্যার। তারপর যথেচ্ছ বকাবকি। কান্ড দেখে ভিরমি খাওয়ার জোগাড় বেচারা রোহনের। কিন্তু রাধামাধব স্যার মিষ্টি হেসে বললেন, ভয় পাসনে।

আমরা অকারণে অবলা প্রাণীদের মারি। ওদের কষ্টের কথা একদম ভাবি না। অনেক সময় বাবা-মা বকলেও আমরা বাবা-মায়ের কথায় কান দিই না..! আমার খুব খারাপ লাগছে ! ও আজ আমার পোলাও খেয়েছে, আমি খুব খুশি রে।

ঘোর কাটতে না কাটতে, জিপসি একটু দূরে যেতেই দেখি সামনে একহাত দূরে একটি চিতাবাঘ দাঁড়িয়ে আছে, আর তার পিছনেই ‘হালুম’ গর্জন–গাইড বলল, ওটা ওয়াই মার্কের ডাক। গর্জন শুনেই চিতাবাঘটি উঠে পড়ল সামনের গাছে।

ভগবান মৃদু হেসে বলেন, আমার চোখে আমার সকল সৃষ্টিই সমান। তুচ্ছ-উচ্চ বলে কিছু নেই। তোমার ভালোবাসার দৃঢ়তায় আমি মুগ্ধ হয়েছি। বলো, কেন তুমি আমাকে ডেকেছো?

এগোতে এগোতে হঠাৎই চিৎকার–ও মাগো…!

সোনার একটা পা পড়ল খাদে। কিছুতেই উঠতে পারল না। তলিয়ে যেতে থাকল। কিন্তু বুদ্ধি করে হাত দুটোকে মাথার ওপরে তুলে রাখল।

 

এমন সময় এক ভদ্রলোক আমার হাতে চিঠিটা দিয়ে বললেন, আপনি তো ওদিকেই যাচ্ছেন–এই চিঠিটা অনীশ সামন্তকে দিয়ে দেবেন। তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই ট্রেনে উঠে গেলেন।

অভির মায়ের ছেলেকে নিয়ে অনেক আক্ষেপ–ছেলে তার চালাক-চতুর, করিৎকর্মা হবে, ছটফটে হবে। তা না, একদম ধীরস্থির, শান্তশিষ্ট, গোবেচারা।

 

রাতে মিঠির ঘুম এল না। কেবলই ভাবছে, এই বুঝি বেলা হয়ে যাবে! ভোর না হতেই উঠে পড়লো সে। দাদান বলেছে আজ থেকে সাতাত্তর বছর আগে এই দিনে আমাদের দেশ স্বাধীন হয়েছিল মধ্যরাতে।

দীঘির পশ্চিম পাড়ের ঢালে বিশাল একটা শিরীষ গাছের তলায় গিয়ে গরুর গাড়ি থামলো। মেলায় পৌঁছে গেল বংশী। গোরুর কাঁধ থেকে গাড়ির জোয়াল নামিয়ে দিল মদন। ঠাকুমা মদনের হাতে দু’টাকা দিয়ে বলল, কলা, মিষ্টি কিনে মুড়ি খেয়ে নিবি। আমরা মেলায় যাচ্ছি তাহলে।

ঠাকুরমশাই, আমি তো কোনো দোষ করিনি। দুটো পাকা তাল পেয়েছিলাম। আজ বাদে কাল জন্মাষ্টমী। তাই ভাবলাম মন্দিরে দিয়ে আসি।

প্রতি বছর ইছামতি নদীতে দুর্গা বিসর্জনকে ঘিরে দুই বাংলার মধ্যে সম্প্রীতির সম্পর্ক দৃঢ়তর হয়ে ওঠে। বিসর্জনের সময় বাংলাদেশের মানুষ যেমন পশ্চিমবঙ্গের প্রতিমা বিসর্জন দেখতে আসে, তেমনই পশ্চিমবঙ্গের মানুষও বাংলাদেশের প্রতিমা দেখতে আগ্রহী হয়।

এক ধারে নিতান্ত অবহেলায় পড়ে এই ঐতিহাসিক নিদর্শন। শুধু যেন কালের রক্তচক্ষুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে মিনারটি।

ভ্যানে করে পাড়ার মোড়ে ট্যাপকলের কাছে আসতেই খুশি দেখে, ট্যাপকল দিয়ে অনবরত জল পড়ে যাচ্ছে। খুশি ভ্যানকাকুকে বলল, “কাকু একটু দাঁড়াও।”

আজও গেলে দেখতে পাওয়া যাবে অফিসের সামনের খোলা জমিতে দাঁড়ানো কালের সহযাত্রী মোটা গুঁড়ির অতি পুরাতন বিশাল বৃক্ষটিকে।

 

খাদ কাটা যখন দক্ষিণে বেকবাগান পর্যন্ত পৌঁছেছে, তখন খবর এল বর্গিদের সঙ্গে নবাব এক রফায় এসেছেন। বর্গির হাঙ্গামার আশঙ্কা স্তিমিত হয়ে এল। তাই খাদ কাটা বন্ধ হল। কাটা খাদ যেমন ছিল তেমন পড়ে রইল, বছরের পর বছর।

ইতিমধ্যে দিল্লির বাদশাহ বদলেছে, বদলেছে বাংলার নবাবও। এমন কী রাজ্যের রাজধানীও ঢাকা থেকে তুলে মুর্শিদাবাদে আনা হয়েছে। সেসময় বাংলার বহমান শান্ত জীবনে এক ভয়ানক উপদ্রব এসে হাজির হলো–নাম তার বর্গি। বর্গিদের কথা বলতে গেলে শিবাজির কথা বলতে হয়। তাঁর নেতৃত্বে পশ্চিম ভারতে মারাঠা শক্তির আবির্ভাব ঘটে।

সেই কলকাতা গড়ে ওঠার কালেই খাদ বুজিয়ে পথ। এতে কল্পনার কোনও রসায়ন নেই–তা সত্যি ইতিহাস, সেই কাহিনিই বলব৷

ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাহেবরা বাগবাজারে বানালো পেরিনস গার্ডেন–সিরাজকে আটকানোর জন্য সেখানে কামানও বসানো হয়েছিল।

তোমরা অনেকেই হয়তো জিম করবেটের নাম শুনেছ। কেউ কেউ হয়তো জঙ্গল-সাফারিও করে এসেছ জিম করবেট ন্যাশনাল ফরেস্টে। জিম করবেট ফরেস্ট ঘুরতে গিয়ে আমার নিজের এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

এ বছরে মধুসূদন দত্তর দ্বিশতবার্ষিকী পূর্ণ হবে। তিনি জন্মেছিলেন ১৮২৪-এর ২৪ শে জানুযারি। ভূদেব মুখোপাধ্যায় ছিলেন তাঁর প্রিয় বন্ধু। মধুসূদন বয়সে বড়ো, ভূদেব ছোটো। কিন্তু মেধার ওজনদাঁড়িতে দুজনেরই পাল্লা ভারী ছিল।

আমার হিমালয়ে বিচরণের অভিজ্ঞতা তিন দশকের। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই দেখেছি হিমালয় অভিযানে পদে পদে বিপদ।

ওই, ওই যে পাঁচিলটা দেখছেন, ওর গা ঘেঁষেই ছিল লুৎফান্নিসা বেগমের ঘর। জীবনের শেষ ক'টা দিন ওখানেই কাটিয়েছেন তিনি। স্বামী-সন্তান সব হারিয়ে একাকিনী এক নারী, চারপাশে সমাধির নিচে শুয়ে তাঁর আপন ও পরিচিতজনেরা।…

keyboard_arrow_up