বাড়ি পৌছেই বিহান দেখল বাড়িতে অনেক লোকজন। সবার চোখে জল। শুনল শান্তু কাকাইয়ের কুকুর জ্যাকি মরে গেছে। শুনে বিহানের বুকটাও কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। ভেউ ভেউ করে কাঁদতে লাগল বিহান।
বাড়ি পৌছেই বিহান দেখল বাড়িতে অনেক লোকজন। সবার চোখে জল। শুনল শান্তু কাকাইয়ের কুকুর জ্যাকি মরে গেছে। শুনে বিহানের বুকটাও কেমন মোচড় দিয়ে উঠলো। ভেউ ভেউ করে কাঁদতে লাগল বিহান।
সে বুঝতে পারল না এতে রাগ করার কী আছে? মা বলল, কাঁঠাল পাতা? এ কাঁঠাল পাতা? এ তো বটপাতা। তুই কাঁঠাল পাতা চিনিস না তো আনতে গেলি কেন? এক্কা আর দোক্কা কোথায়?
বাচ্চা অক্টোপাসের করুণ চোখদুটোর দিকে চোখ পড়ে গেল দিয়ার। বাচ্চাটি যেন বলে উঠল, আমাকে বাঁচাও। দিয়া নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না। মুহূর্তের মধ্যে তাদের হাত থেকে প্লাস্টিকটা কেড়ে নিয়ে ছুটতে লাগল সমুদ্রের দিকে।
কিছুক্ষণ আগেই স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেছে সে। আজ শুক্রবার। কাল-পরশু ছুটি আছে। অনেকক্ষণ জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকল। চড়ুই বা টুনটুনি কাউকেই দেখতে পেল না। মনটা খারাপ হল তার। তবে কি ওরা তিয়নের রাগ বুঝতে পেরে গেছে?
বন্ধু এখনও হয়নি দাদান। ও তো আমাদের কথা বুঝতেই পারে না। আমরাও ওর কথা বুঝি না। নীলা আন্টি বলেছে, ও নাকি পাহাড়ের ছেলে। ওরা নেপালি ভাষায় কথা বলে। সেটা কী দাদান ?
দোকানি অবাক হয়ে তাকিয়ে বলল–কাতরাসগড় তো পেছনে ফেলে এসেছেন বাবুজি। এটা চন্দ্রপুরা টাউন। এই তো সামনে পোস্ট অফিস মোড়।
সব শেষে পাখি পুলিশ বলল, “শোনো, টুনটুনি-বুলবুলি, তোমরা এখন বড়ো হচ্ছো। তাই তোমাদের বাসার ঠিকানা মুখস্ত রাখা উচিত।
সেই নদীতে ইলশেগুঁড়ি ওড়ে, দোল খায় বাতাস, ঝরে পড়তে থাকে এক আকাশ খুশি। তখন মন খারাপের মেঘও কেটে যায় নদীর কাছে এলে। মায়ের বকুনি, ইস্কুলে পড়া না পারার বেদনা, বাবার আগুন চোখ সব হঠাৎ হঠাৎ করে কীভাবে যেন উধাও হয়ে যায়।
শাল-মহুয়া-শিশু-আমলকী গাছের ভিতর দিয়ে, এদিক–ওদিক করতে করতে একসময় পথ হারিয়ে ফেলে তিয়ান। অন্ধকারও নেমে এসেছে তখন। কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না সে।
কাকের কথায় হাতির চেতনা হলো। ঠিকই তো। এভাবে চললে এই বনে একদিন ভালো পশু-পাখি আর থাকবে না। এবার হাতি করল কী, ঘরে মুখ ঢুকিয়ে একটা একটা করে সব পশুকে বের করে দিলো।
নদীর কাছাকাছি এসে দেখে একটা লেপার্ড জল খাচ্ছে। ভয়ে সবার বুক হিম হয়ে গেল। ফিরে পালাবে কিনা ভাবতে ভাবতেই হঠাৎ ডালপালা সরিয়ে একটা বিশাল বুনো হাতি বেরিয়ে এলো। সে ছেলেমেয়েগুলোর দিকে তাকালেই না। সেও আসলে জল খেতে এসেছিল।
তবুও চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলো তাপু। মনীন্দ্রবাবু এতক্ষণ চুপ করে ছিলেন। একটাও কথা বলেন নি। এইবার বলে উঠলেন–ও কোথা গিয়েছিল, আমি জানি, আমার মুখে শুনুন। ও গিয়েছিল ফিরুদের বাড়ি।
সবাই ঋকের কুকুরের প্রশংসা করে বলতে লাগলো একটা পথের কুকুর হয়েও কি করে ঋককে বিপদের মুখ থেকে বাঁচালো। সত্যি ভাবা যায় না। সত্যিই পথের পুকুর এমন হতে পারে আমরা অনেকেই বুঝি না। আমরা ওদের থেকে দূরে থাকি। বরং তাড়িয়ে দিই। এভাবেই পথের কুকুর ড্যানি সবার আলোচনার বিষয় হয়ে গেল।
গতকালই সুদীপ্ত ওদের আঠাশটা রবারের টুকরো দিয়ে তৈরি একটা ম্যাপ উপহার দিয়েছে। নানা রঙের টুকরোগুলো আসলে এক-একটা প্রদেশ I খাঁজে খাঁজে লাগিয়ে দিলে ভারতবর্ষ হয়।
গোয়ালঘরের বাঁদিকের কোনে কাঠের একটা বড় ঝুড়ির মধ্যে কেলিটা রোজ ঢুকে যাচ্ছে। সারাদিন বের হচ্ছে না । মাঝে মধ্যে ইতিউতি তাকিয়ে টুক করে বের হয় খুব কম সময়ের জন্য। তারপর শান্ত হয়ে বসে থাকে সারাদিন।
ওখানে কেবল বাঁধ আর কিছু নোনা গাছ। দিনে দুবার করে জোয়ার আর ভাটা। তারপর বড়ো কোটাল এলে তো কথাই নেই, তখন পাড় ভেঙে নদী উপছে জল। সেই জল ঢুকে পড়ে বাড়িতে, জমিতে। তখন তো একেবারে ভয় আর ভয়। কিন্তু এখানে যেন একেবারে অন্যরকম।
সাতদিন হলো৷ আজ রবিবার৷ সকালে হঠাৎ এমন একটা ঘটনা ঘটল, যার জন্য কোনও প্রস্তুতি ছিল না৷ কোন্নগরের মাসিমনি বাথরুমে পা পিছলে পড়ে গেলেন। ওনার ছেলে-মেয়ে দুজনেই থাকে বিদেশে৷ ভালো একজন কাজের লোক আছে৷ সে খবর দিতেই মা ছুটলেন মাসিমনির পায়ের ব্যবস্থা করতে।
চিনির থমথমে মুখের দিকে তাকিয়ে তার ঠাম্মি বললেন, আজও তোমার আগেই শিল্পীরা হাজির হয়ে গেছে বুঝি?
এইসময়ে মান্তুর ঠাকুমাকে মনে পড়ে খুব। তিলতিল করে মৃত্যুর দিকে ধেয়ে চলা ঠাকুমা হঠাৎ মারা যাবার আগের দিন অবধি মান্তু আর তিতিনকে ঠাকুরমার ঝুলির গল্প শোনাত।
হরিহর লকাইয়ের কথা একরকম ভুলেই গেছিলেন। প্রতিদিন বাজার থেকে ফেরার পথে তিনি বসন্তর চায়ের দোকানে একটু বসেন। এক কাপ চা হাতে নিয়ে এর-তার সঙ্গে টুকটাক কথা বলেন। বেশিরভাগই বাজার সংক্রান্ত।
হাইওয়ে ধরে নিজের কান্ট্রি সাইডের ফার্মহাউস থেকে
বাড়ি ফিরছিলেন ডাঃ জোসেফ মিলার, থাকেন ফিনিক্সে। গাড়ি চালাতে চালাতে ক্ষণিক আগের প্রাকৃতিক পরিবেশের ফেলে আসা মুহূর্তগুলির কথা ভাবছিলেন তিনি। হঠাৎই ছন্দপতন !!
পুপলু সবে ক্লাস ফোরে উঠেছে। উঠতে না উঠতেই বাবা এনে দিয়েছে একটা আঁকার খাতা আর অনেকগুলো প্যাস্টেল। পুপলু আসলে ছবি আঁকতে খুব ভালোবাসে। পড়ালেখার মাঝে সুযোগ পেলেই বসে ছবি আঁকে।
বিস্তীর্ণ জঙ্গলের ফাঁকে ফাঁকে ছবির মতো ছোটো ছোটো গ্রাম। অনন্য প্রকৃতির সাজানো সংসারে সবুজগাঁও তার অন্যতম। পাশ দিয়ে ছোট্ট চঞ্চল একটা নদী সারাক্ষণ খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে ছুটে চলেছে। মূলত আদিবাসী গ্রাম হলেও বেশকিছু বাঙালি পরিবারের দীর্ঘদিনের বসবাস।…