ছোটোদের চাঁদের হাসি / তোমাদের পাতা / এপ্রিল ২০২৫

তোমাদের পাতা

লেখা

 

অনবদ্য আরাকু

 

                          

বেড়াতে যেতে কার না ভালো লাগে ? প্রতিবছরই অপেক্ষা করে থাকি কবে, কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়ির সবার সঙ্গে মজা করে বেড়াতে যাবো। সেই মতোই প্ল্যান হলো আর পুজোর ছুটিতে রওনা দিলাম অন্ধ্রপ্রদেশের আরাকুর উদ্দেশ্যে। হাওড়া থেকে করমন্ডল এক্সপ্রেসে ভাইজ্যাক, সেখান থেকে ট্রেন বদল করে কিরন্ডুল এক্সপ্রেসে আরাকু–এভাবেই এগিয়ে চললাম আমরা আমাদের গন্তব্যে পৌঁছনোর লক্ষ্যে।

 

ট্রেন যত আরাকুর দিকে এগোতে লাগলো, ততই বাতাসে ঠাণ্ডার কাঁপন টের পেলাম। সব থেকে মজার ব্যাপার হলো, যখন আমাদের ট্রেন ৫১ পাহাড়ের টানেল পার করল। আরাকু হলো ছোট পাহাড়ি গ্ৰাম, যার বেশির ভাগ মানুষই উপজাতি। আরাকুতে পৌঁছে আমাদের রিসর্টের বারান্দা থেকে বড় বড় পাহাড় আর সবুজ উপত্যকা দেখে খুশিতে মন ভরে উঠলো। আবার ঘর থেকে ট্রেন লাইনও দেখা যেত। কত মালগাড়ি সারাদিন ধরে হুইসিল বাজিয়ে লাইন ধরে চলে যাচ্ছে, সেও ভারি মজা।

 

দুপুরে গাড়ি করে রঙ্গিলা জলপ্রপাত, পদ্মপুরম গার্ডেন, ট্রাইবাল মিউজিয়াম ও চকোলেট ফ্যাক্টরি দেখে এলাম। কফি মিউজিয়াম থেকে কফি খেলাম। মিউজিয়াম থেকে পাপা কিছু চকোলেট কিনে দিল। রাতে হোটেলে ফিরে আমার খুব প্রিয় 'বাম্বু চিকেন' খেলাম। পরের দিন আরাকু ছেড়ে যাবার পথে কফি প্ল্যান্টেশন দেখলাম, যা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কফি গার্ডেন। এরপর গালিকোন্ডা ভিউ পয়েন্ট ও মৌমাছি পালন দেখলাম।

 

সবশেষে বোরা কেভ (গুহা)-এ এলাম। গুহার ভিতরে চুনাপাথরের ওপর বৃষ্টির জল পড়ে পড়ে বিভিন্ন আকৃতির প্রাণী ও পশুপাখির অবয়ব তৈরি হয়েছে, যা গাইড আমাদের আলো ফেলে দেখালেন এবং বুঝিয়ে দিলেন, যা দেখে আমি খুবই অবাক হলাম। চারপাশে অনেক বাঁদর খুব দুষ্টুমি করছিল। ফেরার সময় একটু মন খারাপ হলো। তবে, একই সঙ্গে অনেক নতুন নতুন জিনিস দেখার আনন্দও ছিল। এরপর আমরা আরাকু থেকে ফেরার ট্রেন ধরলাম।

তমোঘ্ন বসাক, ১১ বছর

 

ছবি ঋণ ইন্টারনেট


                       

◾ছবি

 

হাসিখুশি

অক্ষরা মিত্র, ৪ বছর


আপেলবাবু

শুভান্বিতা শূর, ৪ বছর 


 ছোটো মোর গ্রামখানি

আরোহী অধিকারী, ৬ বছর  


 মিঃ গোকু

কিয়াশ মুখার্জি, ৭ বছর


গনেশ বাবাজি

দীক্ষা সেন, ৭ বছর 


মায়ের হাত ধরে স্কুলে

টুইঙ্কেল সরকার, ৭ বছর


সাজিব যতনে

শ্রোত্রিয় মজুমদার, ৮ বছর


নদীর পাড়ে চায়ের দোকান

প্রাদিত্য সাহা, ১০ বছর


 নভেলিস্ট

উষ্ণীষ চক্রবর্তী, ১৩ বছর


পাঠকদের মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up