আনন্দ-বসন্তে রঙের খেলা
দখিনা হাওয়ার পথ ধরে
প্রবাসী বসন্ত এল ঘরে।
প্রকৃতির সাজঘরে রঙের প্লাবন
খুশির আলোয় মেতে নেচে ওঠে মন !!
ঠিক তোমাদের মতোই রঙিন হাসিখুশি ফুলেরা এখন গাছের ডালে ডালে। সঙ্গে পাতায় পাতায় মিষ্টি হাওয়ার ঝলক। হবেই তো ! ঋতু বসন্ত এসে গেছে যে ! তোমরা নিশ্চয়ই জানো, বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে সব শেষে আসে বসন্ত। ফাল্গুন ও চৈত্র দুই মাস মিলে হয় বসন্তকাল। শীত আর গ্রীষ্মের মাঝে বসন্ত আসে দারুণ আরামদায়ক আবহাওয়া নিয়ে। তারই সঙ্গে মেলে প্রকৃতির মনোরম রূপ-রস-রঙ! এই সময়টায় নতুন গাছের জন্ম হয়, গাছে গাছে নতুন পাতাও গজায়। প্রজাপতি ও মৌমাছিদের আনাগোনা বেড়ে যায়। তারা নেচে নেচে, ফুলের মধু খেয়ে, উড়ে বেড়ায় বাগানে। বসন্তে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে গাছে–অশোক, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, কুর্চি, মাধবী, মালতি, মহুয়া, কুসুম, গাব, শাল, শিমূল, নাগেশ্বর, মুচকুন্দ ইত্যাদি।
বাংলায় বসন্তের দু'টি উৎসবের মধ্যে প্রধান হলো আমাদের সবার প্রিয় দোল। আর একটি শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শান্তিনিকেতনের নাম শুনেছ নিশ্চয়ই তোমরা। নাচে-গানে জমজমাট শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব প্রকৃতির আঙিনায় অনুষ্ঠিত এক সুমধুর আয়োজন। তোমরা কখনও সুযোগ পেলে দেখে আসতে পারো শান্তিনিকেতনের এই বর্ণময় উৎসব।
এবার তোমাদের প্রিয় উৎসব দোলের কথা। আর কয়েকদিন পরেই রঙের এই উৎসবে মেতে উঠবে তোমরা। প্রতিবারের মতোই খেলার সাথীদের নিয়ে রঙ খেলবে। লাল, কমলা, গোলাপী, সবুজ আবীরে রাঙিয়ে তুলবে একে অপরকে। তবে, কেউ কারও চোখে রঙ দিও না। আর এমন রঙ খেলায় ব্যবহার করো না, যা ত্বকের ক্ষতি করে। এছাড়া এমন রঙও খেলায় ব্যবহার করা উচিত নয়, যা পরিবেশকে দূষিত করে। আজকাল এইসব ক্ষতি এড়াতেই ভেষজ রঙের প্রচলন হয়েছে। ভেষজ রঙ তৈরি করা হয় ফুল, পাতা ও অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে। দোল হলো আনন্দ আর খুশির উৎসব। মনে রাখতে হবে, আমাদের সেই আনন্দ যেন অপরের অসুবিধার কারণ না হয়। ভালো থেকো তোমরা। রঙ খেলো প্রাণ খুলে। কিন্তু সাবধানে !
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250