ছোটোদের চাঁদের হাসি / ইতি সম্পাদক / মার্চ ২০২৪

ভালো থেকো তোমরা ঋতু বসন্তে

 

দখিনা হাওয়ার পথ ধরে

রঙিন বসন্ত এল ঘরে,

আকাশে মাটিতে কলরোল

খোল দ্বার, খোল, দ্বার খোল…!!

 

 

ছোট্টো বন্ধুরা,

 

আশা করি ভালো আছো তোমরা।  এ তো ভালো থাকারই সময়। ঋতুচক্রের নিয়মে শীতের পরে এসে গিয়েছে আনন্দ-ঋতু বসন্ত। বাংলার ছয় ঋতুর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বসন্ত। তাই বসন্তকে ঋতুরাজ বলা হয়। এসময় যেদিকেই তাকাও, প্রকৃতির সর্বত্র রঙের ছোঁয়া। গাছেদের দেহে নতুন ডালপালা আর পাতা গজিয়ে সবুজে সবুজ। পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়ায় রঙিন হয়ে ওঠে প্রকৃতির আঁচল। বকুল,পারুল, চাঁপাফুলের সুগন্ধ ভেসে বেড়ায় বসন্ত বাতাসে।

 

প্রকৃতির রঙবাহারের সঙ্গে তাল মিলিয়েই বসন্তের আবহে শোনা যায় কোকিলের ডাক আর ভ্রমরের গুঞ্জন। তারই সঙ্গে ফুলে ফুলে প্রজাপতি-মৌমাছিদের নাচানাচি। বসন্তে কচি কচি মুকুলে সেজে ওঠে আমগাছ। মাঠ ভরে ওঠে যব,গম, সর্ষে ইত্যাদি শস্যে।

 

আজ আমাদের ন্যাড়া পোড়া…কাল আমাদের দোল…! এদিক ওদিক থেকে শুকনো পাতা জড়ো করে আগের দিন বুড়ির ঘর পোড়ানো। পরের দিনটায় মহা আনন্দ ! স্কুল ছুটি। বন্ধুদের সঙ্গে মিলেমিশে রঙ খেলা। তোমাদের জন্য বসন্তের সবচেয়ে বড় উপহার হলো এই রঙের উৎসব অর্থাৎ দোল। প্রকৃতির রঙিন মেজাজের সঙ্গে তাল রেখেই মেতে ওঠার উপলক্ষ হলো দোল উৎসব। নানারঙের আবীর বা পিচকিরিতে জলরঙ নিয়ে প্রাণ ভরে খেলো দোল–তবে, সাবধানে।

 

 

 

 


পাঠকদের মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up