পরিবেশ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ
গ্রীষ্ম গেল,বর্ষা এল, রিমঝিমঝিম বৃষ্টি
সবুজ পাতায় ফুলের হাসি, কি অপরূপ সৃষ্টি!
সবার চোখে আশার আলো,খুশির আলাপন
ও মেঘ তুমি বৃষ্টি ঝরাও, এনো না প্লাবন !!
ছোট্টো বন্ধুরা,
আজ তোমাদের একটা অত্যন্ত আনন্দের খবর জানাব। ছোটোদের চাঁদের হাসির অত্যন্ত আপনজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক অশোককুমার মিত্র এবছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রদত্ত বিদ্যাসাগর পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন, শিশু ও কিশোর সাহিত্যে জীবনব্যাপী অবদানের জন্য। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ছোটোদের জন্য শিশু-কিশোরদের উপযোগী সাহিত্য-বার্ষিকী ‘ঝালাপালা‘ সম্পাদনা করে চলেছেন। শিশু সাহিত্য বিষয়ে তিনি এক অসাধারণ অভিধান বললে কম বলা হয়। আমরা গর্বিত, এরকম একজন গুণী সাহিত্যিক আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত আছেন। আমরা সম্মানিত, কারণ এর আগেই ‘উদ্ভাস শিশু ভাবনা কেন্দ্র’ এবং ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি’র পক্ষ থেকে যথাক্রমে ডাঃ আদিত্যকুমার ঠাকুর স্মৃতি সম্মান জীবনকৃতি পুরস্কার এবং ছোটোদের চাঁদের হাসির শ্রেষ্ঠ গল্পলেখক হিসেবে অশোককুমার মিত্রকে পুরস্কৃত করার সুযোগ পেয়েছি। অন্তহীন অভিনন্দন ও সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই তাঁকে।
তোমরা জানো, গত ৫ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। আর আজ অর্থাৎ ৮ই জুন বিশ্ব সমুদ্র দিবস। জেনে রাখা ভালো, পরিবেশ সচেতনতা ও সমুদ্র দিবস এমন দু’টি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ যা মানুষকে প্রকৃতি ও সমুদ্রসম্পদের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করে তোলে। পরিবেশ আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু বর্তমানে নানা ধরনের দূষণ, বনভূমি ধ্বংস, অতিরিক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার ও প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহারের ফলে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের প্রত্যেকেরই কিছু কর্তব্য রয়েছে।
পরিবেশ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য হলো, পরিবেশ দূষণ রোধ করা, বৃক্ষরোপণ ও সবুজায়নে উৎসাহ দেওয়া, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ক্ষতিকর বস্তু ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি। সমুদ্র দিবস পালনের লক্ষ্য হলো–সমুদ্র দূষণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, অতিরিক্ত মাছ শিকার বন্ধ করা, প্লাস্টিক বর্জ্য সমুদ্রে না ফেলা। বিশ্বের ৭০% অংশ জুড়ে রয়েছে সমুদ্র। এটি শুধু খাদ্য ও অর্থনৈতিক সম্পদের উৎস নয়, বরং পৃথিবীর জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাহলে পরিবেশ রক্ষায় আমাদের কর্তব্য কী কী ? গাছ লাগানো ও বন সংরক্ষণ। বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং বন উজাড় রোধ করতে হবে। আবর্জনা যথাস্থানে ফেলতে হবে এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস ব্যবহার করতে হবে। প্লাস্টিক ও পলিথিন কম ব্যবহার করতে হবে। জল ও বিদ্যুৎ অপচয় না করে যতটা সম্ভব সাশ্রয় করতে হবে। নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। তাই, তোমরাও পরিবেশ ও সমুদ্ররক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে তোমাদের স্কুলের ও পাড়ার বন্ধুদের অবশ্যই বোলো।
পাঠকদের মন্তব্য
250