ছোটোদের চাঁদের হাসি / ইতি সম্পাদক / জুন ২০২৪

প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে এসো তোমরাও

ভাঙছি পাহাড়, বাঁধছি নদী, আবর্জনায় রুদ্ধ শ্বাস

ভুলেই গেছি পৃথিবীতে নয় মানুষের একার বাস।

বাঁচতে হলে আলো বাতাস বৃষ্টি এবং সবুজ চাই

লোভী মানুষ ভাবছে না তো বাঁচার রসদ কে জোগায় !!

 

 

ছোট্টো বন্ধুরা, আশা করি ভালোই আছো তোমরা। গত ৫ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশ অর্থাৎ আমাদের চারপাশের প্রকৃতি, ঘরবাড়ি, পথঘাট ইত্যাদি। তোমরা নিশ্চয়ই জানো, পরিবেশের ওপর আমাদের ভালো থাকাটা অনেকটাই নির্ভর করে। এই তো কটা দিন আগের কথা, কী গরমটাই না পড়েছিল। এটা ঠিক যে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ হলো গ্রীষ্মকাল। গরম তো পড়বেই। কিন্তু, তারই পাশাপাশি বৈশাখে কালবৈশাখীও তো হওয়ার কথা! ঝড় এলে, তার সঙ্গে খানিকটা বৃষ্টিও হয়। আর তাতেই চিরকাল ধরে বাংলার মানুষ একটু হাঁফ ছেড়ে বাঁচে।

 

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গ্রীষ্ম-প্রকৃতির সেই আরামের আয়োজন একেবারে উধাও। কখনও প্রবল গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত। আবার যখন ঝড়-বৃষ্টি আসে, তখন সেটাও যেন বিধ্বংসী রূপ ধারণ করে। এরজন্য কিন্তু প্রকৃতি নয়, আমরাই দায়ী। আমরা প্রকৃতির যত্ন করা দূর, গাছ কেটে, পুকুর-জলাশয় বুজিয়ে তাকে যে কষ্ট দিচ্ছি, সেটাই ফিরে আসছে আমাদের জীবনে। সারা বছরের হিসেবে বৃষ্টির পরিমাণ গড়ে কমছে ক্রমশ। এরফলে বাড়ছে উষ্ণতা। ছোট্ট বন্ধু তোমরা এখন থেকেই কিন্তু এই বিষয়টার প্রতি খেয়াল রেখো।

 

 

একদিকে এই কান্ড। অন্যদিকে আমাদেরই দ্বারা প্রতিনিয়ত চলছে জল, বায়ু ও মাটি দূষণ !! যত্রতত্র প্লাস্টিক ও অন্যান্য আবর্জনা ফেলে আমরা দূষিত করছি পুকুর-নদী-সাগর ও ভূমিতল। পাশাপাশি যানবাহনের ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে বায়ু। এর ফলে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে অসুখবিসুখ। তোমরা ভবিষ্যত নাগরিক। তোমরা যদি এখন থেকে সচেতন ও সাবধানী হও, সুস্থ ও সুন্দর হবে পরিবেশ, বাঁচবে পৃথিবী।

 

ছবি সৌজন্যে ইন্টারনেট

 

 

 

 

 


পাঠকদের মন্তব্য

Tanuja Chakraborty লিখেছেন... ১৫ই জুন, ২০২৪
ভারি সুন্দর করে পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য, পরিবেশকে নিয়ে ভাবার কথা বললেন শিশুদের উদ্দেশে।আপনার আন্তরিক আহ্বানে সাড়া মিলুক,প্রকৃতি বাঁচুক নিজের ছন্দে।

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up