শীত উৎসবে ভালো থেকো তোমরা
হিম হাওয়া নিয়ে এল শীত আর বড়োদিন
নিয়মের বেড়া ভেঙে শুধু মজা ক’টা দিন।
কেউ যাবে পিকনিকে, কেউ যাবে বেড়াতে
মেলা খেলা চারিদিকে, পারবে কি এড়াতে?
ছোট্টো বন্ধুরা
কেমন আছো সবাই ? বাতাসে শীতের আমেজ টের পাচ্ছো নিশ্চয়ই ! এই সময়টায় ক্রমশ দিন ছোট ও রাত বড় হয়ে ওঠে। সকাল হয় শিশির ভেজা ঘাস আর পাতাঝরার সুরে। মাঠে মাঠে ধান কাটার পালা শেষ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রকৃতি এই সময় যেন বেশ খানিকটা রুক্ষ। তবে, গ্রীষ্মপ্রধান দেশের অধিবাসীদের পক্ষে শীত হলো আরামের ঋতু। এই সময়টায় প্রচুর স্বাস্থ্যকর ফল ও সবজি ফলে। গোলাপ আর নানা বর্ণের ডালিয়ায় সেজে ওঠে বাগান।
একদিকে প্রকৃতির বুকে শীতের আমেজ, অন্যদিকে ডিসেম্বর মানেই বর্ষ বিদায় আর বড়দিন উদযাপনের আয়োজন। স্কুল-কলেজের ছুটি, তাই বেড়ানো, পিকনিক ইত্যাদির ধুম পড়ে যায়! ডিসেম্বর ইংরেজি বছরের শেষ মাস। অর্থাৎ, এরপরই নতুন বছরের আগমন। পুরাতন যা কিছু ভালো, তাকে স্মৃতির সিন্দুকে রেখে, ভুলভ্রান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা নতুন পথে এগিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার এই সময়ই নিয়ে থাকি। এই সবের পাশাপাশি তোমরা নিশ্চয়ই নতুন ক্লাসে ওঠার অপেক্ষায়! নতুন ক্লাস মানেই নতুন বই, কখনও কখনও নতুন বন্ধু! কী মজা, তাই না ?
ডিসেম্বরের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। এদিন সবচেয়ে দেরিতে সূর্য অস্ত যায়। তোমরা সবাই জানো, ২৫শে ডিসেম্বর বড়দিন বা ক্রিসমাস, যা মূলত যীশুখ্রিস্টের জন্মদিন রূপে উদযাপন করা হয়। বড়দিনের প্রথাগত গল্প এই–এক প্রবল শীতের রাতে বেথেলহেমে কোনো সরাইখানায় জায়গা না পেয়ে, যোসেফ ও মেরি এক আস্তাবলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। সেখানেই প্রভু যীশুর জন্ম হয়। সেই পবিত্র ক্ষণকে উপলক্ষ্য করেই বড়দিন উদযাপন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি পবিত্র দিন, যা মানবজাতির জন্য ঈশ্বরের ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ নয়, সর্ব ধর্মের মানুষেরই বড় প্রিয় এই উৎসব। গির্জা, বাড়িঘর, পথঘাট সেজে ওঠে আলোক মালায়। নানা উপকরণে সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি। ছোটদের জন্য উপহারের ঝুলি নিয়ে হাজির হন সান্তাক্লজ। বলা যায়, এভাবেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বড়দিন ধর্মীয় উদযাপনের সীমা অতিক্রম করে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
আমরা জানি সুখ-দুঃখ, আলো-অন্ধকার পাশাপাশি থাকে। উৎসবের আনন্দের মধ্যে বিষাদের ঘটনা। ছোটোদের চাঁদের হাসির অত্যন্ত আপনজন বিশিষ্ট লেখক আশিস সান্যাল সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। ডিসেম্বর সংখ্যায় ছোটোদের চাঁদের হাসি পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর লেখা একটি গল্প পুনর্মুদ্রিত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছি।
তোমাদের জন্য আমরা এনেছি বড়দিনের উপহার–নানান রঙে, লেখায়, ছবিতে সাজানো ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি’ ডিজিটাল ডিসেম্বর সংখ্যা। কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবে। ভালো থেকো সবাই।
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250