লাগুক প্রাণের স্পর্শ
স্বাগতম নববর্ষ,
নব ভাবনায় নব চেতনায়,
নতুন স্বপ্ন আশা-ভরসায়
লাগুক প্রাণের স্পর্শ !!
ঘন কালো মেঘে ঢেকেছে আকাশ। চোখ ধাঁধানো বিদ্যুৎ-চমক। তারপরেই প্রবলবেগে ঝড়ো হাওয়ার দাপাদাপি। পুরনো বছরের সমস্ত আবর্জনা দূর করে নতুনের খবর নিয়ে এভাবেই আসে কালবৈশাখী। বাঙালি বরণ করে নেয় নববর্ষকে। পয়লা বৈশাখ আমাদের বড় প্রিয় উৎসব। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা গেয়ে উঠি, এসো হে বৈশাখ…এসো, এসো…! পুরো একটি বছরের দুঃখ, বেদনা, ক্লান্তি পিছনে ফেলে দিয়ে বছরের প্রথম দিনটি যখন আমাদের দুয়ারে এসে দাঁড়ায়, আমরা আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠি।
প্রাচীনকাল থেকে বাংলায় বর্ষবরণের প্রথা চলে আসছে। দুই বাংলায় তো বটেই, সারা বিশ্বে যেখানে যত বাঙালি আছে, সেখানে অত্যন্ত আনন্দ ও উৎসাহের সঙ্গে উদযাপিত হয় পয়লা বৈশাখ। এদিন ছোটো-বড়ো সব বয়সের মানুষ নতুন জামাকাপড় পরে। একে অপরের সঙ্গে নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় এই উৎসবের অন্যতম অঙ্গ। পুজোআচ্চা থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান–সবই থাকে উদযাপনে। এছাড়া ব্যবসায়ীদের জন্য পয়লা বৈশাখের গুরুত্ব অসীম। তাঁরা গণেশ পুজোর মধ্য দিয়ে ব্যবসার নতুন খাতা খোলেন। এরই নাম হালখাতা। ক্রেতারা আন্তরিক আবেগে এই হালখাতা পালনে এগিয়ে আসেন, মিষ্টিমুখ যার অন্যতম অঙ্গ। সব মিলিয়ে পয়লা বৈশাখ বাঙালির চিরন্তন মিলনমেলায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে।
নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে প্রতিশ্রুতিমতো তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি ডিজিটাল‘-এর এপ্রিল সংখ্যা। ছড়া-কবিতা, গল্পগাথা, হাসি-খুশি-মজা ইত্যাদিতে জমজমাট রঙিন উপহার। এত আনন্দের মধ্যে একটা দুঃখের খবর–ছোটোদের চাঁদের হাসির অত্যন্ত আপনজন জনপ্রিয় শিশুসাহিত্যিক কার্তিক ঘোষ সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। ছোটোদের চাঁদের হাসিতে লেখা তাঁর একটি কবিতা পুনরায় প্রকাশ করে আমরা তাঁর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছি। ভালো থেকো সবাই। নতুন বছর ভালো কাটুক।
পাঠকদের মন্তব্য
250