ছোটোদের চাঁদের হাসি / জেনে নিতে মানা নেই / সেপ্টেম্বর ২০২৫

দূরের চাঁদ কাছে এলে

 

চাঁদ আমাদের পৃথিবী থেকে দেখতে কত সুন্দর, বলো !! পূর্ণিমায় সোনার থালার মতো বড় চাঁদ আমরা দেখতে পাই। চাঁদ দেখে কবিরা কবিতা লেখেন, গায়করা গান বাঁধেন, মায়েরা তাঁর কোলের শিশুকে দেখিয়ে বলেন— ‘আয় আয় চাঁদমামা আমার সোনার কপালে টিপ দিয়ে যা।’ ছোট্টো বন্ধুরা, তোমরাও নিশ্চয়ই আকাশে চাঁদমামাকে দেখলে বেজায় খুশি হয়ে ওঠো !!

 

বাস্তবে চাঁদ কিন্তু অত্যন্ত রুক্ষ, কর্কশ এক জায়গা। সেখানে জল নেই, বাতাস নেই, ধূ ধূ অসমতল প্রান্তর। পৃথিবীর অনুপাতে সেখানে ১৪ দিন টানা দিন আর ১৪ দিন টানা রাত। দিনের তাপমাত্রা ২০০ ডিগ্রী আর রাতের তাপমাত্রা ১৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড। এই আবহাওয়ায় কোনো প্রাণীর সেখানে বাঁচা সম্ভব নয়। তাই চাঁদে প্রাণের সন্ধান পাওয়া যায় না।

 

 

তোমরা নিশ্চয়ই জানো, চাঁদের নিজস্ব কোনও আলো নেই, সূর্যের আলোয় সে আলোকিত। চাঁদের ওজন পৃথিবীর ১/৬ ভাগ। দূরত্ব পৃথিবী থেকে প্রায় পৌনে চার লক্ষ কিলোমিটার। চাঁদের ওপিঠ আমরা দেখতে পাই না, তাকে বলা হয় ডার্ক সাইড। এহেন ডার্ক সাইডে অর্থাৎ চাঁদের ওপিঠেই চিন চন্দ্রযান নামিয়েছে, নাম’চ্যাংই-৪’।

 

প্রসঙ্গত, এ কাজ এতদিন কোনও দেশ পারেনি। বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, যেহেতু জায়গাটা পৃথিবীর উল্টোদিকে, তাই ওখানে বেতারতরঙ্গ পৌঁছায় না।  তাই আগে থেকে একটা উপগ্রহ পাঠিয়েছিল চিন, যা চাঁদকে উপগ্রহ হিসেবে প্রদক্ষিণ করছে। তারই মাধ্যমে ভায়া মিডিয়া চ্যাংই-৪ সেখানকার ছবি ও তথ্য পাঠাচ্ছে।

 

ছবি ঋণ ইন্টারনেট


পাঠকদের মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up