ছোটোদের চাঁদের হাসি / জেনে নিতে মানা নেই / মে ২০২৪

হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ

 

মে মাসটা বাঙালি তথা ভারতবাসীর জীবনে দারুণ উল্লেখযোগ্য। দু’দুজন বিশ্বখ্যাত বাঙালি মনীষী জন্মগ্রহণ করেন এই মাসেই। আজ তাঁদের সম্পর্কেই সংক্ষেপে জানাব তোমাদের। বাংলা সাহিত্য ও সঙ্গীতের ক্ষেত্রে কিংবদন্তি এই দুই স্রষ্টার অজস্র অবদানে সমৃদ্ধ হয়েছি আমরা। একজন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, অপরজন কাজী নজরুল ইসলাম।

 

 

১৮৬১ সালের ৭ই মে (বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫শে বৈশাখ) জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোট গল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সর্বোপরি একজন দার্শনিক। এছাড়া, শিল্প, সাহিত্য, সমাজ ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও অসীম অবদান তাঁর। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ প্রভৃতি ডাকে অভিহিত করা হয়। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। তারপর তো অজস্র কাজ !

 

 

তোমাদের জন্যও রবীন্দ্রনাথ তাঁর সৃষ্টির সম্ভার সাজিয়ে রেখে গেছেন। লিখেছেন অসংখ্য ছড়া, কবিতা, গান, গল্প, নাটকসহ নানা রকম শিশু উপযোগী রচনা। তোমাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর লেখা ‘সহজ পাঠ‘ পড়েছ স্কুলে। এছাড়াও ছোটোদের পছন্দের বইয়ের তালিকায় রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত শিশু, শিশু ভোলানাথ, খাপছাড়া ইত্যাদি। তাঁর রচিত গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার পান রবীন্দ্রনাথ। ১৯৪১ সালের ৭ই আগষ্ট (বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ) প্রয়াত হন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 

 

 

চেতনায় নজরুল

 

 

১৮৯৯ সালের ২৪ শে মে (বাংলার ১৩০৬ সালের ১১ই জ্যৈষ্ঠ) বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে, এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন একাধারে কবি ও সঙ্গীতকার। সাহিত্যের অন্যান্য শাখাতেও স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল তাঁর। 'অগ্নিবীণা' তাঁর লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ। দেশ তখন পরাধীন। শোষণ, বঞ্চনা এবং ধর্মীয় গোঁড়ামির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিল নজরুলের কলম। তাঁর লেখা কবিতা ও গানে ঝরে পড়ত প্রতিবাদের সুর। এই কারণেই তাঁকে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলা হয়। ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার তাঁকে রাজদ্রোহিতার অপরাধে কারাবন্দী করেছিল।

 

 

তোমরা অনেকেই নিশ্চয়ই তাঁর লেখা ‘কাঠবেড়ালী’ পড়েছ আর খুব মজাও পেয়েছ। ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে মারাত্মক স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ায় নজরুলের সৃষ্টির সমস্ত প্রবাহ থেমে যায়। বাংলাদেশ সরকার ১৯৭২ সালে নজরুলকে সপরিবারে কলকাতা থেকে ঢাকা নিয়ে যায়। ১৯৭৬ সালে তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট (বাংলা ১৩৮৩ সালের ১২ ই ভাদ্র) কবি কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন। বাংলাদেশে তিনি ‘জাতীয় কবি’র সম্মানে ভূষিত হন।

 

 

 

 


পাঠকদের মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up