শরৎ মানেই আগমনী
প্রকৃতির সাজঘরে শরতের আগমন
পুজোর আতর মেখে সবুজের আয়োজন।
মাঝে মাঝে সোনারোদ লুকোচুরি খেলে যায়
নাচ-গান-কবিতারা মেতে আছে মহড়ায় ।।
বর্ষা বিদায় নিতেই শরতের আকাশে ভাসমান সাদা মেঘের ভেলা। কাশফুলের সমারোহে উৎসবের বার্তা। শিউলির সুবাসে মধুর বাতাস। ফসলের ক্ষেতে দুলে উঠছে সোনালি ধানের শীষ। পত্রপল্লবে নতুন প্রাণের ছোঁয়া। তোমরা সবাই জানো শরত মানেই বাঙালির দুর্গাপুজো। প্রকৃতির সর্বত্র এখন মায়ের আগমনীর সুরে মুখরিত। পুজোর আনন্দের আভাস গ্রামে-শহরে। তোমরাও নিশ্চয়ই প্রস্তুত হচ্ছো ! আর কদিন পরই মহালয়া। তারপরই স্কুলে-স্কুলে পুজোর ছুটি। এই আনন্দ-উৎসবের সাজে সেজে উঠতে হবে তো ! নতুন জামা-জুতো পরে মণ্ডপে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা শুরু হলো বলে। পুজোর দিনগুলো খুশি আর মজায় কাটুক তোমাদের।
ভারতে প্রতি বছর ৫ই সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি প্রখ্যাত দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিন। তিনি বিশ্বাস করতেন, সমাজ গঠনের অন্যতম প্রধান রূপকার হলেন শিক্ষক। কারণ, শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইই পড়ান না, তাঁরা ছাত্রদের জীবন গঠনের পথও দেখান। তাই তাঁর জন্মদিনেই শিক্ষক দিবস পালনের প্রথা শুরু হয়। এদিন ছাত্রছাত্রীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান জানায়। নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বক্তৃতা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁদের অবদানকে স্মরণ করা হয়।
বাংলা শিশু-কিশোর সাহিত্যের ভুবন এক সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। এর মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অবদান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ৭ই সেপ্টেম্বর হলো তাঁর জন্মদিন। তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন দিকপাল সাহিত্যিক, যিনি বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোর পাঠকদের জন্যও অসাধারণ সাহিত্য রচনা করেছেন। তোমাদের সবার প্রিয় কাকাবাবুর স্রষ্টাও তিনিই। কাকাবাবু ও সন্তু’র দুঃসাহসিক অভিযান রোমাঞ্চকর শুধু নয়, সাহস, বুদ্ধি, দেশপ্রেম ও মানবিকতার শিক্ষাও দেয়। এছাড়াও তিনি লিখেছেন গল্প, উপন্যাস ও কবিতা–যা কিশোর পাঠকদের কল্পনার জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে।
ভালো থেকো সবাই। পুজোয় খুব আনন্দ করো। সেইসঙ্গে তাদের কথাও মনে রেখো, যেসব বন্ধুদের পুজোয় নতুন জামা-জুতো হয়নি, যাদের ঘরে ভালো-মন্দ দূরে থাক, দুবেলা পেট ভরে খাবার জোটে না। যতটুকু সম্ভব তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করো। দেখবে খুশির দোলায় মন কেমন ফুরফুরে হয়ে গেছে।
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250