পুজোর গন্ধ ভাসে বাতাসে
মেঘ -ভাঙা সোনা রোদ চুপি চুপি বলে যায়
খুশির খবর নিয়ে শরত এসেছে, তাই
শিউলি টগর জুঁই ছড়ায় সুবাস
পদ্মদীঘিতে মুখ দেখছে আকাশ !!
ছোট্ট বন্ধুরা
কেমন আছো ? বাতাসে বেশ পুজো পুজো গন্ধ, তাই না ? আর আকাশের দিকে তাকালেই মন গেয়ে উঠছে, নীল আকাশে কে ভাসালে সাদা মেঘের ভেলা…! বর্ষা যাই যাই সময়ে এমনটা তো হবেই ! রোদ্দুরে এখন চাঁপাফুল রঙের আবেশ। নরম আলো মেখে নিচ্ছে সূর্যাস্তের বিকেল। শিউলি ফুলের গন্ধ মনে আনে খুশির আমেজ !
গ্রামের দিকে এই সময় খাল-বিলের জল পরিষ্কার ও স্বচ্ছ হয়ে ওঠে, যেখানে শোভা পায় রাশি রাশি পদ্মফুল, যা প্রকৃতির বুকে এক অপরূপ ছবি তৈরি করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, উৎসবের আনন্দ এবং মনোরম আবহাওয়া–সব মিলিয়ে শরৎকাল বাংলার মানুষের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। যুগ যুগ ধরে বাঙালি জীবনে শরৎকাল আর দুর্গাপুজো একাত্ম হয়ে গিয়েছে।
ক’দিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। আকাশে উড়বে রঙিন ঘুড়ি, উৎসবের আমেজ আর আনন্দের খবর নিয়ে। বিশ্বকর্মা পুজোর পর আসবে মহালয়া, মা দুর্গার আগমনী গানে মুখর হবে শরতের প্রভাত। দুর্গাপুজো বাঙালির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব। দুর্গাপুজোর আয়োজনের ধুমধাম, প্রতিমা গড়ার কাজ, প্যান্ডেল সাজানো এবং পুজোর দিনগুলিতে সবাই মিলে আনন্দ করার পরিবেশ শরৎকালকে রঙিন করে তোলে। ভালো থেকো সবাই।
তোমরা নিশ্চয়ই জানো, গত ৫ই সেপ্টেম্বর ছিল শিক্ষক দিবস। সমাজে শিক্ষকদের অবদান অতুলনীয়। শিক্ষকরা হলেন মানুষ গড়ার কারিগর। তাঁদের এই অবদানকে শ্রদ্ধা জানিয়েই প্রতি বছর এই দিনটিকে ভারতে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি, দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন ৫ই সেপ্টেম্বর। ১৯৬২ সাল থেকে এই তারিখটিকে নির্দিষ্ট করা হয় শিক্ষক দিবস রূপে।
◾ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250