অক্টোবর জুড়ে উদযাপিত কিংবদন্তী মানুষের জন্মদিন
মহালয়া থেকে শুরু হয়ে গেছে শারদীয়া উৎসব
পুজো মানে শুধু পুজো তো নয়, মহামিলনের পথ!
দীপাবলি শুধু আলো জ্বালা নয়, জীবনের জয়গান
অন্ধকারের বৃত্ত সরিয়ে কালিমার অবসান !!
ছোট্টো বন্ধুরা,
প্রথমেই তোমাদের জানাই বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা। আশা করি, পুজোয় তোমরা খুব আনন্দ করেছ !! এ বছর সেপ্টেম্বরের শেষ থেকেই দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেছে। তবে, দুর্গাপুজো শেষ হলেও উৎসব কিন্তু শেষ হয়নি। সামনেই রয়েছে কালীপুজো, দিওয়ালি, ভাইফোঁটা ইত্যাদি। অর্থাৎ ঘরে-বাইরে সমারোহ।
তবে, আমোদ উৎসব শুধু নয়, ভারতবাসীর কাছে অক্টোবর আরও একটি কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসেই জন্মেছিলেন দেশের এমন কয়েকজন কিংবদন্তী ব্যক্তিত্ব, চলে যাওয়ার পরও যাঁদের জীবন ও কর্ম আজও আমাদের পথ দেখায়।
প্রথমেই বলব, জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর কথা। ২রা অক্টোবর তাঁর জন্মদিন। সারা দেশ জুড়ে অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয় দিনটি। তিনি পৃথিবীকে শিখিয়েছিলেন অহিংসা ও সত্যের নতুন ভাষা। অস্ত্র নয়, নৈতিক সাহস দিয়ে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন গান্ধীজি। তাঁর জন্মদিন আজ আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালিত হয়, যা এক অমূল্য বার্তার প্রতীক।
একই দিনে জন্মেছিলেন আর এক শ্রদ্ধেয় দেশনেতা লাল বাহাদুর শাস্ত্রী। ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। সাদাসিধে, বিনয়ী, সরলতার প্রতিমূর্তি ছিলেন মানুষটি। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সংকটকালে শান্ত ও স্থির শক্তি দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন লাল বাহাদুর। তাঁর আহ্বান ‘জয় জওয়ান, জয় কিষাণ’ ভারতের সৈনিক ও কৃষকের অবদানকে একসূত্রে বেঁধে রেখেছে চিরকালের মতো।
১৫ই অক্টোবর জন্মেছিলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আবদুল কালাম, যাঁকে বলা হয় ‘জনগণের রাষ্ট্রপতি’! রামেশ্বরমের সাধারণ জীবন থেকে উঠে এসে তিনি ‘মিসাইল ম্যান’ হয়ে দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও ভারতের উন্নত ভবিষ্যতের স্বপ্ন আজও তরুণদের অনুপ্রাণিত করে।
বিখ্যাত ভারতীয় সাহিত্যিক আর. কে. নারায়ণ জন্মগ্রহণ করেন ১০ই অক্টোবর। তাঁর রচিত ‘মালগুড়ি ডেজ’ ভারতীয় জীবনযাপনের সরলতা ও হাস্যরসকে তুলে ধরেছে, যা শুধু জনপ্রিয় নয়, পাঠকের স্মৃতিতে অমর হয়ে আছে। এছাড়াও আর. কে. নারায়ণের লেখা অন্যান্য রচনা বিশ্বপাঠককে মুগ্ধ করেছে। কারণ, তাঁর প্রতি রচনাতেই মানবজীবনের চিরন্তন সত্য ধরা পড়েছে।
শিশু-কিশোর সাহিত্যের প্রবাদপ্রতিম সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্মদিন ৩০শে অক্টোবর। বাংলা সাহিত্য জগতকে তিনি উপহার দিয়েছেন ‘আবোল তাবোল’-এর মতো অমর সৃষ্টি। তাঁর রসবোধ ও কল্পনার ডানা আজও সব বয়সী পাঠককে হাসায়, বিস্মিত করে এবং শিখিয়ে দেয়, নির্মল আনন্দ, চূড়ান্ত মজাও সৃজনশীলতার এক অনন্য রূপ। ভালো থেকো সবাই।
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250