বৃষ্টির গান শোনা যায় কান পাতলেই
জল থৈ থৈ পুকুর নদী, বৃষ্টিমুখর দিন
বর্ষারানির নুপুর বাজে রিনঝিন রিনঝিন।
বৃষ্টিধারায় সরস মাটি, তৃপ্ত সবুজ বন
এইতো সময় গাছ লাগানোর ব্রত উদযাপন !!
ছোট্টো বন্ধুরা
গ্রীষ্মের পরে বর্ষা আসে প্রকৃতির আশীর্বাদ হয়ে। তোমরা নিশ্চয়ই দেখেছ, এই সময় আকাশ প্রায়ই ঢেকে যায় কালো মেঘে। তারপর সেই কালো মেঘের বুক চিরে বিদ্যুৎ চমকায় আর অঝোরধারায় বৃষ্টি পড়ে। প্রকৃতির রূপ তখন সবুজে সবুজ। মাঠে মাঠে ধান চাষ হয়। বৃষ্টির জলে পুকুর, নদী, খাল ভরে যায়। আর অনেকক্ষণ বৃষ্টির পর একটু জল জমলেই তো সেখানে কাগজের নৌকা ভাসিয়ে খেলা আর আনন্দ! স্কুল বন্ধ থাকলে এমন নানান মজা। আর খোলা থাকলে ছাতা বা রেনকোটের ভরসায় স্কুলে যাওয়া। সব মিলিয়ে বাকি সব ঋতুর মতো বর্ষাও আমাদের কাছে আসে, প্রকৃতির দারুণ এক উপহার হিসেবে।
বর্ষার গল্প তো হলো। এবার তোমাদের বলব দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের কথা। তিনি ছিলেন একজন মহান দেশপ্রেমিক, দক্ষ আইনজীবী, রাজনীতিবিদ এবং কবি। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশ। তাঁর জন্ম ১৮৭০ সালের ৫ই নভেম্বর, আর মৃত্যু ১৯২৫ সালের ১৬ই জুন। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন তিনি। পরে বিলেতে গিয়ে ব্যারিস্টারি পড়েন এবং দেশে ফিরে একজন নামকরা আইনজীবী হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেন।
চিত্তরঞ্জন দাশ ছিলেন অত্যন্ত সাহসী একজন মানুষ। ব্রিটিশ শাসকদের বিরুদ্ধে কথা বলতে কখনও দ্বিধা করেননি তিনি। নির্ভয়ে কংগ্রেসের মঞ্চে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতার দাবিতে বক্তৃতা দিতেন দেশবন্ধু। তিনি ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর রাজনৈতিক গুরু। চিত্তরঞ্জন দাশ মনে করতেন, কাজের মাধ্যমেই দেশকে ভালোবাসা উচিত। তাই তিনি স্বদেশি আন্দোলনের সময় বিদেশি জিনিস বর্জন করে দেশীয় পণ্যের ব্যবহার শুরু করেন। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ আমাদের শেখান কীভাবে সাহস, সততা ও দেশপ্রেম দিয়ে একটি জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। তাঁর জীবন থেকে আমরা অনুপ্রাণিত হই এবং শিখি দেশকে ভালোবাসা মানে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করা।
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250