এসেছে বরষা…
গ্রীষ্মের পরে আসে বর্ষা
চাষীদের মনে জাগে ভরসা
চারিদিকে সবুজের জয়গান
প্রকৃতির আশ্বাসে ভরে প্রাণ!!
ছোট্টো বন্ধুরা,
আমরা জানি প্রকৃতির নিয়মে ঋতু বদল হয়। গ্রীষ্মের পরে বর্ষা আসে, তারপরে শরৎ–এভাবেই চলতে থাকে ঋতুচক্র। কিন্তু বিশ্ব উষ্ণায়ন, পরিবেশ দূষণ ইত্যাদি নানা কারণে ঋতুবদলের প্রভাব কিছুটা এলোমেলো হয়ে গেছে। আমাদেরই চেষ্টা করতে হবে কিভাবে প্রকৃতির নিয়ম-শৃঙ্খলা আবার ফিরিয়ে আনা যায়। তোমরা নিশ্চয়ই জানো মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী এটি হচ্ছে বাংলা বছরের দ্বিতীয় ঋতু। আষাঢ় ও শ্রাবণ এই দুই মাস হলো বর্ষাকাল। গ্রীষ্মের তীব্র তাবদাহের পর প্রকৃতিকে শীতল, সতেজ, স্নিগ্ধ আর কোমল করে তুলতে বর্ষার আগমন। নদীমাতৃক বাংলার নদী জলে পূর্ণ হয়ে ওঠে বর্ষাকালে। নদীর ময়লা-আবর্জনা দূরে সরে যায় বর্ষার নির্মল ধারাপাতে। প্রাণ ফিরে পায় প্রকৃতি। বর্ষাকে তাই প্রকৃতির রানী বলা হয়।
এবার অন্য প্রসঙ্গে আসা যাক। তোমরা নিশ্চয়ই ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের নাম শুনেছ। তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। তবে, তারও আগে একজন কিংবদন্তী চিকিৎসক হিসেবে খ্যাত হন তিনি। ১৮৮২ সালের ১লা জুলাই বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন বিধানচন্দ্র রায়। ১৯৫০ সালের ২৬ শে জানুয়ারি ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী রূপে শপথ নেন। রাজ্যের সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক উন্নতিকল্পে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। আজকের বিধাননগর, কল্যাণী ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়েরই ভাবনা ও পরিকল্পনায়। আমৃত্যু মানুষের সেবাধর্মে নিবেদিত প্রাণ এই ডাক্তার ও জননায়ক ১৯৬১ সালে ভারতরত্ন পুরস্কারে ভূষিত হন। ডাঃ বিধানচন্দ্র রায়ের মৃত্যু হয় ১৯৬২ সালের ১লা জুলাই। অভিনব ব্যাপার হলো, তাঁর জন্ম ও মৃত্যু ঘটে একই তারিখে। দিনটিকে প্রতি বছর জাতীয় চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ছবি ঋণ ইন্টারনেট
পাঠকদের মন্তব্য
250