ছোটোদের চাঁদের হাসি / ইতি সম্পাদক / জানুয়ারি ২০২৫

সুন্দর হোক নতুন বছর

 

বর্ষ বিদায় নিল,বলে গেল,

        ভালো থেকো তোমরা সবাই

নতুন বছর এল,নতুন স্বপ্ন নিয়ে

         এসো তাকে স্বাগত জানাই।।

ছোট্টো বন্ধুরা,

 

প্রথমেই তোমাদের সকলকে জানাই ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা। নতুন বছর তোমাদের জীবনে অফুরান খুশির বার্তা বয়ে আনুক। প্রতি বছর আমরা সাগ্রহে জানুয়ারির প্রতীক্ষা করি, নতুন বছরকে বরণ করে নেব বলে ! তোমাদের জন্য আনন্দের খবর, প্রকাশিত হলো নতুন বছরের উপহার ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি ডিজিটাল’ জানুয়ারি সংখ্যা। সারা বিশ্বে এই সময়টায় উৎসবের ধুম পড়ে যায়। আমাদের দেশেও নতুন বছর অত্যন্ত উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট থেকে গোয়ার সমুদ্রতীর, নয়াদিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই–সর্বত্র আলোর মালায় সেজে ওঠে।

 

 

জানুয়ারি মাস আমাদের জন্য আরও কয়েকটি কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর ২৬ শে জানুয়ারি আমরা ধুমধামের সঙ্গে উদযাপন করি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ১৯৫০ সালের ২৬শে জানুয়ারি ভারতের সংবিধান গ্রহণের ঐতিহাসিক দিন–ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় উৎসব। সারা দেশে মহা উৎসাহে এবং গৌরবের সঙ্গে উদযাপন করা হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। স্কুল-কলেজ এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করে এবং স্বাধীনতা সংগ্রামীদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেড হলো এদিনের অন্যতম আকর্ষণ।

 

 

তোমরা নিশ্চয়ই জানো, ১২ই জানুয়ারি (১৮৬৩ সাল)  স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন। তিনি ছিলেন একজন বিশ্বখ্যাত ভারতীয় সন্ন্যাসী, দার্শনিক, লেখক, ধর্মীয় শিক্ষক এবং শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসের প্রধান শিষ্য। তিনি আধুনিক ভারতের জাতীয়তাবাদী ভাবনার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। শিক্ষাক্ষেত্রেও স্বামীজীর চিন্তাধারা ভারতীয় সমাজে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি আনে। তিনি নারীশিক্ষার প্রসারে জোর দিয়েছিলেন। তাঁর বিশ্বাস ছিল, দেশের যুবসমাজই জাতির প্রকৃত ভবিষ্যৎ এবং যুবশক্তির মাধ্যমেই জাতীয় জাগরণ সম্ভব। তাঁর জন্মদিন, ১২ জানুয়ারি, ভারতে জাতীয় যুব দিবস হিসেবে পালিত হয়।

 

 

ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের পুরোধা, জাতীয়তাবাদী নেতা, দেশ নায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জন্মগ্রহণ করেন ২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭। সুভাষচন্দ্র বসু ছোটবেলা থেকেই স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনে গভীরভাবে প্রভাবিত হন। স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে জোরদার করতে তিনি আজাদ হিন্দ ফৌজ (আইএনএ) গঠন করেন এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। নেতাজির দেশপ্রেম, সাহস এবং ভারতমাতার প্রতি আত্মনিবেদন আজও কোটি কোটি ভারতবাসীকে অনুপ্রাণিত করে।

 

ছবি ঋণ ইন্টারনেট


পাঠকদের মন্তব্য

হাননান আহসান লিখেছেন... ১২ই জানুয়ারি, ২০২৫
ভারি সুন্দর হচ্ছে...
রিংকু চ্যাটার্জি লিখেছেন... ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫
আপনাদের প্রচেষ্টা কে আন্তরিক শুভেচ্ছা, আমাদের ছোটরাই আগামী প্রজন্ম তারা যেন গড়ে ওঠে সত্যি ভারতীয় হয়ে এই কর্মকান্ডে আপনারা অংশীদার তার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up