ছোটোদের চাঁদের হাসি / ইতি সম্পাদক / ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দেবী সরস্বতীর আরাধনা ও একুশের উদযাপন

শীত বলে যাই যাই, বসন্ত দরজায়

   আকাশ এখন আরও নীল ।

উঁকি দেয় কচিপাতা, নতুনের জয়গাথা

   প্রকৃতির খেলাঘরে স্বপ্নমিছিল !!

 

 

ছোট্ট বন্ধুরা,

 

সরস্বতী পুজো কেমন কাটালে তোমরা ? নিশ্চয়ই খুব আনন্দ করেছ ! এ তো তোমাদেরই পুজো। বসন্তে যখন ফুলে ফুলে সেজে ওঠে ধরিত্রী, তখনই অবতীর্ণ হন বিদ্যার দেবী সরস্বতী। প্রতি বছর মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমীর দিন-তিথি মেনে সরস্বতী পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সরস্বতী পুজোয় পুজোর আয়োজন থেকে শুরু করে ভোগের খিচুড়ি–সব মিলিয়ে তোমাদের নানান কাজ, সেইসঙ্গে হৈ-হুল্লোড় ! তবে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মায়ের সামনে দাঁড়িয়ে সমবেত পুষ্পাঞ্জলি !

 

ফেব্রুয়ারির আর এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ২১শে ফেব্রুয়ারী। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি বাংলাদেশ হলেও সারা বিশ্বের বাংলাভাষী মানুষের কাছে এই দিনটি অত্যন্ত আবেগ ও গর্বের দিন। এই দিনটি মাতৃভাষার অধিকার এবং স্বীকৃতির লড়াইয়ের প্রতীক। ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ছাত্ররা আন্দোলনে নামেন। তাঁদের আত্মত্যাগের স্মরণে বাংলাদেশে দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে পালিত হয়। পরে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

 

 

২০২৫ সালের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের থিম –বহুভাষিক শিক্ষা। এতে ভাষার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রজন্মের মধ্যে জ্ঞান, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মাতৃভাষায় শিক্ষালাভ শিশুদের আত্মবিশ্বাস, সৃজনশীলতা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  মাতৃভাষাকে ভালোবাসতে এবং সম্মান জানাতে শিখতে হবে। তা সম্ভব মাতৃভাষা চর্চা এবং শিক্ষার মাধ্যমে। আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় প্রচুর সম্পদ। সবই তোমাদের জন্য। ভালো থেকো সবাই।

 

ছবি ঋণ ইন্টারনেট

 


পাঠকদের মন্তব্য

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি

আপনি কি এই লেখায় আপনার মন্তব্য দিতে চান? তাহলে নিচে প্রদেয় ফর্মটিতে আপনার নাম, ই-মেইল ও আপনার মন্তব্য লিখে আমাদের পাঠিয়ে দিন।
নাম
ই-মেইল
মন্তব্য

250

    keyboard_arrow_up