বীণাবাদিনী দেবী সরস্বতী
শীত বলে যাই যাই, বসন্ত দরজায়
কুয়াশাও দূরে গেছে সরে,
চঞ্চল মাঠ বন, বাতাসের গুঞ্জন
মনপাখি ডানা মেলে ওড়ে।
ছোট্টো বন্ধুরা,
দেখতে দেখতে এসে গেল ফেব্রুয়ারি মাস। আর কদিন পরেই সরস্বতী পুজো। তোমাদের স্কুলেও নিশ্চয়ই পুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গেছে। কারও কারও আবার বাড়িতেও হচ্ছে পুজোর ঘটাপটা। সব মিলিয়ে বেজায় ব্যস্ত এখন তোমরা সকলেই। দেবী সরস্বতী হলেন বিদ্যা ও জ্ঞানের প্রতীক । পড়াশোনা, সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রকলা–সবরকম বিদ্যার কেন্দ্রেই অধিষ্ঠান তাঁর। দেবী সরস্বতীর রূপটিও ভারী চমৎকার ! বীণাবাদিনী শুভ্রবসনা দেবী সরস্বতী। আর তাঁর বাহন–রাজহংস। মাঘমাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়। আমাদের রাজ্য ছাড়াও উত্তর ভারত, ওড়িশা, নেপাল ও বাংলাদেশেও মহাসমারোহে সরস্বতী বন্দনার আয়োজন করা হয়।
সরস্বতী পুজোর বিশেষত্ব হলো–ছোটো-বড়ো সকলের সমানভাবে অংশগ্রহণ। পুজোর চিরাচরিত প্রথার মধ্যে রয়েছে দেবী সরস্বতীর আসনের পাশে বই, খাতা, দোয়াত, কলম ইত্যাদি রাখা। সবটাই মা সরস্বতীর প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধার প্রকাশ। অনেক বাড়িতেই সরস্বতী পুজোর দিন শিশুদের হাতেখড়ি দেওয়া হয়। অর্থাৎ তার জীবনে লেখাপড়ার শুরু এই আয়োজনের মাধ্যমেই। সব মিলিয়ে বলা যায়, এই পুজো হলো জ্ঞান, বিদ্যা, শিক্ষার আলোয় আলোকিত হওয়ার এক সুন্দর আয়োজন, যার কেন্দ্রে অধিষ্ঠিত দেবী সরস্বতী।
আনন্দ-আয়োজনের মধ্যে একটি জরুরি কথা সবসময় মনে রাখতে হবে। আমরা বাঙালি এবং বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। প্রতিবছর ২১ শে ফেব্রুয়ারী দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয় সারা পৃথিবী জুড়ে। মাতৃভাষাকে সম্মান জানানোই এর উদ্দেশ্য। আমাদেরও ভালোবাসতে হবে আমাদের মাতৃভাষা ‘বাংলা’কে।
একটি দুঃখের খবর–ছোটোদের প্ৰিয় আপনজন বিশিষ্ট ছড়া লেখক ভবানীপ্রসাদ মজুমদার সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন। ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি’ পত্রিকার শারদ ২০০৬ সংখ্যায় প্রকাশিত তাঁর লেখা একটি ছড়া এই সংখ্যায় পুনর্মুদ্রিত করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছি।
সবশেষে, প্রতিশ্রুতিমত তোমাদের জন্য প্রকাশিত হলো ‘ছোটোদের চাঁদের হাসি ডিজিটাল’-এর ফেব্রুয়ারি সংখ্যা। অবশ্যই পড়বে এবং মতামত জানাবে। ভালো থেকো সবাই।
পাঠকদের মন্তব্য
250