পালনে, উদযাপনে বড়দিন
এসে গেছে শীতবুড়ো কনকনে হাওয়া
এই ফাঁকে সেরে নাও যত চাওয়া-পাওয়া।
বড়দিনে চেয়ে নাও বড়ো উপহার
খোলা চোখ, বড়ো মন, স্বপ্ন হাজার!
আর কিছুদিন পরই বড়দিন। যিশুখ্রিষ্টের জন্মোৎসব পালন করবে সারা বিশ্বের মানুষ। ছোট্ট বন্ধুরা, তোমাদের জন্য বড়দিন মানেই তো ভরপুর ছুটি, প্রচুর আনন্দ, কেক-পেস্ট্রি আস্বাদন আর বড়দিনের সকালে ঘুম ভাঙতেই সান্তাক্লজের কাছ থেকে উপহার প্রাপ্তি !! কয়েকদিন আগে থেকেই কলকাতার পার্ক স্ট্রিট অঞ্চল, সেন্ট পলস ক্যাথিড্রাল গির্জা সহ দেশ-বিদেশের অন্যান্য গির্জা ও তৎসংলগ্ন গ্রাম-শহর, পাড়া ও অঞ্চল আলোর মালায় সেজে ওঠে। অধিকাংশ গির্জায় বড়দিনের সর্বশেষ প্রস্তুতিটি নেওয়া হয় বড়দিনের পূর্বসন্ধ্যায়। এছাড়াও, বড়দিন উৎসব-পর্বের অন্যতম অঙ্গ হল গৃহসজ্জা ও উপহার আদানপ্রদান। গির্জায় হোক বা বাড়িতে, এই সজ্জার প্রধান আকর্ষণ সান্তাক্লজ ও ক্রিসমাস ট্রি।
যিশুর জন্ম-উপাখ্যান সারা বিশ্বব্যাপী অতি সমারোহে উৎযাপিত এই মহা পার্বণ, পালন ও উৎসবের মূলভিত্তি। উপাখ্যান অনুসারে, দরিদ্র মেষপালক জোসেফ ও তাঁর স্ত্রী মেরি বেথলেহেম শহরে উপস্থিত হন। দারুণ শীতের সেই রাতে কোনও পান্থশালায় থাকার জায়গা না পেয়ে, একটি আস্তাবলে আশ্রয় নেন অসহায় দম্পতি। কথিত আছে, গবাদি পশু পরিবৃত সেই আস্তাবলেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন মানবত্রাতা প্রভু যিশু। বড়দিনের সকালে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী মানুষজন শ্রদ্ধা সহকারে গির্জায় যান ও যিশুখ্রিষ্টের বন্দনা করেন। রয়েছে ক্রিসমাস ক্যারোল গাওয়ার প্রথাও।
এ কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, বড়দিন নিছক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের উৎযাপিত একটি উৎসব নয়। প্রতি বছর সারা বিশ্বের মানুষ জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এই উৎসবে শামিল হন। বড়দিন যথার্থই মহামিলনের উৎসব। মানবজাতির মধ্যে পারস্পরিক ক্ষমা, সৌহার্দ্য ও ভালোবাসা বিনিময়ের এক উপলক্ষ। এই উপলক্ষ সার্থক হবে, তোমরা সেই মন নিয়েই এই উৎসবে সামিল হলে। দিন বড়ো হোক ক্যালেন্ডারের নিয়মে নয়, তোমাদের ভালো থাকা আর ভালো রাখায়। যীশু বসবাস করুক তোমাদের পবিত্র হৃদয়ে।
পাঠকদের মন্তব্য
250