স্মরণে নীরেন্দ্রনাথ
প্রয়াণ : ২৫ শে ডিসেম্বর ২০১৮
সুজিত সরকার
কেউ হ'তে চায় ডাক্তার
কেউ হ'তে চায় মোক্তার
কেউ হ'তে চায় গায়ক
কেউ হ'তে চায় নায়ক
কেউ যেতে চায় শুধু যেতে চায়
পথ চলে গেছে যদ্দূর–
অমলকান্তি অন্যরকম
হ'তে চেয়েছিল রোদ্দুর৷
প্রণাম
অচিন্ত্য সুরাল
আমার ছড়া সহজ ছড়া
ছড়ায় অনেক কথা
কিছুটা তার কল্পনা আর
বেশি অভিজ্ঞতা।
আমার ছড়া আগলে রাখে
মানুষ হওয়ার আশা
সব ছড়াতেই আবেগমাখা
অগাধ ভালবাসা।
আমার ছড়া ইসকুলে যায়
সয় না তখন তর
খাতার পাতায় শিহর জাগায়
প্রত্যেক অক্ষর।
আকাশ-মাটি নদীর চরে
ছড়া বনচ্ছায়ে
সকল ছড়া ছড়িয়ে দিলাম
শিক্ষকদের পায়ে।
এই শিশুটি
কাজী মুরশিদুল আরেফিন
এই শিশুটি পথেই থাকে
হাসলে আকাশ হাসে,
ওকেই যখন কাঁদতে দেখি
নদী তখন ভাসে।
ইসকুলেতে হয়নি যাওয়া
দেখায় ট্র্যাপিজ খেলা,
ছুটেই চলে সবখানেতে
কোথায় কবে মেলা৷
পেটের খিদে পেটেই থাকে
পায়না খুঁজে মাকে,
মনের ভিতর মায়ের ছবি
একাই বসে আঁকে৷
একটা আলোর পাখি হঠাৎ
বললো শিখি এসো,
অ আ ক খ এ বি সি ডি
বইকে ভালোবেসো।
উপহার
দীপিকা রায়
পুপলুটা উপহারে পেয়েছিল দুটো বই
ঝলমলে ছবি ছড়া আনন্দে থৈ থৈ ৷
গাছপালা নদী নালা হাসিখুশি ভরপুর
রঙে ভরা কবিতারা বয়ে আনে নানা সুর ৷
পাতায় পাতায় এক অদ্ভুত গন্ধ ৷
লাল নীল সবুজের নেই মিল ছন্দ I
দৌড়য় চারদিকে ঘুম নেই চোখে তার ৷
রঙে ভরা ছবি ছড়া ডাকে তাকে বারবার ৷
রঙিন কাগজ চাই,চাই রঙ পেনসিল
চাঁদের আলোয় দেখি দশদিক ঝিলমিল ৷
ছবির সে রঙগুলো লেগে আছে সারা গায়
খুশিতে পুপলু তাই ঘরে ডিগবাজি খায়।
ফুলের কাছে
নীলোৎপল ভট্টাচার্য
ছাদের উপর টবের সারি
ফুল ফুটেছে টবে
সকল ফুলের সঙ্গে তিতাস
মনের কথা কবে ৷
কোথায় তুমি রং পেলে ভাই
সবুজ কেন পাতা ?
বাতাস তোমার বুকের উপর
নোয়ায় কেন মাথা ?
ফুলের বুকে প্রজাপতি
রোজ সকালে এসে
নাচন দেখায় রঙিন পাখায়
চুপটি করে বসে ৷
আমিও বসি চুপটি করে
পাশে ফুলের টব
কার্নিশে দুই শালিক তখন
করছে কলরব৷
মেঘেদের জন্য
তনুজা চক্রবর্তী
আকাশের বুকে গড়ে ফুল- পাখি-মূর্তি
দিনরাত মেঘেদের তাই এত ফূর্তি।
তবু তারা কমবেশি জুড়ে দেয় কান্না,
মাঝে মাঝে মনে হয় ডেকে বলি আর না।
অত রাগ ভালো নয় বেশি জেদ কোরো না,
বড় বেশি একগুঁয়ে কেন কথা শোনো না?
চোখে ভাসে তারপর বৃষ্টির সৃষ্টি
অপরূপ শোভা তার কী যে লাগে মিষ্টি !
মজা নদী সুখা মাঠ ফিরে পায় ছন্দ,
জলে ভেজা প্রকৃতির গায়ে সোঁদা গন্ধ।
হেসে কেঁদে করে ওরা প্রকৃতিকে ধন্য,
ভালোবাসা বেঁচে থাক মেঘেদের জন্য।
পিকুর ইচ্ছা
ব্রততী দাশগুপ্ত
পিকু যাবে চাঁদের বাড়ি,
সাত সমুদ্র দেবে পাড়ি।
নীল আকাশে মেঘে চড়ে,
ঘুরবে মজায় স্বপ্ন-ঘোরে,
পাগলা হাওয়ায় দোলা খাবে,
চাঁদের বাড়ি যাবেই যাবে।
চাঁদের সাথে খেলবে কত ,
আপনমনে ইচ্ছেমত ,
কত কথা বলবে তাকে,
খেলার মাঝে ফাঁকে ফাঁকে।
চাঁদের বুড়ির চরকা শুনে,
জাগবে প্রহর গুনে গুনে।
খুঁজবে কি মা সবার ঘরে ,
কাঁদবে কি মা আকুল স্বরে
বলবে পিকু, ভয় কি আছে !
আছি আমি চাঁদের কাছে!!
পাঠকদের মন্তব্য
250